Practice Trading | প্র্যাকটিস ট্রেডিং এর করণীয়




Practice Trading – ধরে নিচ্ছি, আপনি ফরেক্স ট্রেডিং শিখতে এবং করতে আগ্রহী। সেই কারনে আপনি গুগল থেকে বিভিন্ন রকমের বিষয় সম্পর্কে সার্চ করে, ফরেক্স ট্রেডিং এর সাথে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়গুলো জানা এবং শিখা শুরু করেছেন। জ্ঞান অর্জন করার পর, আপনাকে এবার ট্রেডিং করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।

এখানে ট্রেডিং বলতে কিন্তু আমরা শুধুমাত্র প্র্যাকটিস ট্রেডিং এর কথা বলছি। কোনওভাবে এখনই রিয়েল ট্রেড শুরু করা যাবেনা। কেননা, Practice Trading হচ্ছে রিয়েল ট্রেডিং শিখার শুধুমাত্র একটি মাধ্যম। ট্রেডিং শিখার জন্য আপনি যাই করেন না করেন, সেটি বাস্তবিক প্রয়োগ করতে হবে প্র্যাকটিস ট্রেডিং সেশনে।

তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, প্র্যাকটিস ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে প্রায় ৯০% ট্রেডারই মনোযোগ সহকারে এই ট্রেডে অংশ গ্রহন করেননা। অর্থাৎ, শুধুমাত্র নামমাত্র প্র্যাকটিস ট্রেডিং করা যাকে বলে।

আপনিও যদি এদের দলে অবস্থান করেন, তাহলে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, প্রফিট আপনার কখনোই করা হবেনা। তাই আজকের এই আর্টিকেলে, প্র্যাকটিস ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে আপনার করণীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ধাপ #১ঃ প্র্যাকটিস ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের ধরন 

প্রথম কাজ হচ্ছে, সঠিকভাবে ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে নিতে হবে। এখানে এই “সঠিক” শব্দটি ব্যবহার করার মুল কারণ হচ্ছে, আপনি রিয়েল ট্রেডিং এর জন্য যেই ধরনের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে আগ্রহী, সেই একই ধরনের ট্রেডিং অ্যাকাউন্টই আপনাকে প্র্যাকটিস করার জন্য নির্বাচন করে নিতে হবে।





যেমন ধরুন, বিভিন্ন ব্রোকার, বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করে। কোনও ব্রোকার মিনি লট, কোনটি স্ট্যান্ডার্ড কিংবা আবার কোনও ব্রোকার মাইক্রো লট ট্রেডিং করার সুবিধা দেয়।

লট সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত একটি গাইডলাইন রয়েছে। আপনি আগ্রহী হলে, Forex Lot এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ে নিতে পারেন।

এখন ধরুন, আপনি রিয়েল ট্রেড করবেন স্ট্যান্ডার্ড ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে কিন্তু প্র্যাকটিস করছেন মিনি লটের ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে। তাহলে ভবিষ্যৎ পরিণতি কি হতে পারে চিন্তা করে নিন।

আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, প্র্যাকটিস এবং রিয়েল ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট হিসাবে শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড-লটের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা। এতে করে সুবিধা হবে, যেহেতু বেশীরভাগ ব্রোকারই এই ধরনের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করে, তাই প্র্যাকটিস সেশন শেষে আপনি যেকোনো ব্রোকারে রিয়েল ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলে, ট্রেড শুরু করে নিতে পারবেন।

প্র্যাকটিস ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার জন্য চাইলে অনুগ্রহ করে ডেমো ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট  আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। এখানে আরও বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই উপস্থাপন করা হয়েছে।

সঠিক ধরনের অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করা হয়ে গেলে, এবার আপনার কাজ হচ্ছে কি পরিমাণ এমাউন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেন সেটির পরিমাণ নিশ্চিত হয়ে নেয়া।

ধাপ #২ঃ প্র্যাকটিস ট্রেডিং এমাউন্ট

প্র্যাকটিস ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার পর, ধরেনিন ব্রোকার আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০,০০০ ডলার ডিপোজিট করে দিল। আপনিও মনের আনন্দে এই এমাউন্ট ব্যবহার করে ট্রেড শুরু করলেন।

তবে এতে কিছুটা সমস্যা আছে। কি সমস্যা? সেটি কি ধরতে পেরেছেন?


সমস্যা হল, আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, যখন রিয়েল ট্রেডিং শুরু করবেন তখন কি আপনি এই ১০,০০০ ডলার ডিপোজিট করার সক্ষমতা রাখবেন? আমাদের দেখা, বেশীরভাগ বাংলাদেশী ট্রেডারদের এভারেজ ডিপোজিট এমাউন্ট হচ্ছে মাত্র ১৮০ ডলার সমপরিমাণ।

যেহেতু আপনি ১০,০০০ ডলার ব্যবহার করে Practice Trading করছেন কিন্তু যখন রিয়েল ট্রেডিং করবেন তখন ডিপোজিট করবেন ১০০-২০০ ডলার, তাহলে প্র্যাকটিস ট্রেডিং এর মাধ্যমে যেই কৌশল নির্ধারণ করবেন সেগুলোকি কাজ আসবে?

উত্তর হচ্ছে না!

কারণ, বড় আকারের ব্যালেন্স ব্যবহার করে প্র্যাকটিস ট্রেডিং করার মাধ্যমে আপনার ট্রেডিং ভলিউম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং ট্রেডিং স্ট্রেটিজি হবে এক রকমের কিন্তু যখন একই ট্রেডিং ভলিউম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং ট্রেডিং স্ট্রেটিজি ব্যবহার করে রিয়েল ট্রেডিং করতে যাবেন, তখন হবে বিপত্তি। কেননা সেগুলো কম ব্যালেন্সের ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে কোনও কাজেই আসবে না।

আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, প্র্যাকটিস ট্রেডিং করার জন্য আপনি শুধুমাত্র সেই পরিমাণ ব্যালেন্সই ব্যবহার করবেন যেই পরিমাণের এমাউন্ট, রিয়েল ট্রেডিং করার জন্য ডিপোজিট করতে পারবেন। যেমন, যদি আপনি ২০০ ডলার ডিপোজিট করে রিয়েল ট্রেডিং করতে চান, তাহলে প্র্যাকটিস ট্রেডিং করার সময়ও আপনাকে ২০০ ডলার সিলেক্ট করে নিতে হবে।

অনেক ব্রোকার, প্র্যাকটিস ট্রেডিং করার সময় ট্রেডারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফান্ড নির্ধারণ করার সুবিধা প্রদান করেনা। সেক্ষেত্রে, আপনি চাইলে এক্সনেস ব্রোকারে একটি প্র্যাকটিস ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে নিতে পারেন। এই ব্রোকারে আপনি নিজ ইচ্ছামতন ফান্ড নিয়ে প্র্যাকটিস ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন। একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এক্সনেস ডেমো ট্রেডিং আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।

ধাপ #৩ঃ সঠিক কারেন্সি পেয়ার নির্বাচন

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন ট্রেডাররা ৫-১০টি কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করা শুরু করেন। এটি একদমই করা যাবেনা। সঠিকভাবে ট্রেড শিখতে হলে প্র্যাকটিস সেশনে, শুধুমাত্র ১টি কারেন্সি পেয়ার নির্বাচন করে ট্রেড শুরু করতে হবে।


প্রশ্ন করতে পারেন, আমি ইচ্ছামতন বেশী বেশী কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড না করলে শিখব কি করে? ভাই থামেন! একসাথে এতবেশী শিখার কোনও দরকার নেই। এতে করে হ জ ব র ল অবস্থা তৈরি হতে পারে।

নতুন অবস্থায় একাধিক কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করার মাধ্যমে শতভাগ মনোযোগ প্রদান করতে পারবেন না। যার কারনে, আপনার শিখাও পূর্ণ হবেনা।

আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, Practice Trading সেশনে একটির বেশী কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করা যাবেনা। এর এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে শুধুমাত্র মেজর কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করতে হবে। যেমন ধরুন, EUR/USD. কেননা এই পেয়ারটির মুভমেন্ট অন্যান্য কারেন্সির তুলনায় অনেক কম থাকে যার ফলে আপনি বিভিন্নভাবে এবং উপায় ব্যবহার করে ট্রেডিং করতে পারবেন।

ধাপ #৪ঃ ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণ

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা যেই ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, এই সবগুলোই ছিল ট্রেড শুরু করার পূর্বের প্রস্তুতি! এখন আমরা প্র্যাকটিস ট্রেডিং শুরু করবো। একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলছি, প্রায় ৯০% ট্রেডারই প্র্যাকটিস ট্রেডিং করেন, শুধুমাত্র করার জন্য।


আপনিও যদি এরকমভাবে ট্রেড শিখা শুরু করেন, তাহলে কিছুই শিখতে পারবেননা। গুগল সার্চ, অনলাইন টিউটোরিয়াল কিংবা আমাদের লারনিং কন্টেন্টগুলো পড়ার পর, সেগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে এবার আপনাকে ট্রেড শুরু করতে হবে।

আর এই ট্রেড প্র্যাকটিস হিসাবে করলে হবেনা, ট্রেড করতে হবে, রিয়েল ট্রেড মনে করে। ধরে নিবেন, আপনি রিয়েল ট্রেড করছেন এবং সেই হিসাবেই প্রফিট কিংবা লস করবেন। এতে করে প্র্যাকটিস ট্রেড করার সময়ই নিজের মতন করে সম্পূর্ণ ট্রেডিং সিস্টেমটি আপনি বুঝতে পারবেন। ফলে রিয়েল ট্রেডিং এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যাই আর হবেনা।

প্র্যাকটিস ট্রেডিং করার সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নিজের জন্য এক কিংবা একাধিক ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণ করে নেয়া। তবে এর জন্য প্রথমে আপনার যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞানের প্রয়োজন হবে। আর এই জ্ঞান অর্জন করতে পারেন ফরেক্স বাংলাদেশের অনলাইন ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম থেকে।

ট্রেনিং থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন বিষয়গুলো যেমন টেকনিক্যালফান্ডামেন্টাল এবং সেন্টিমেন্টাল বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে প্র্যাকটিস ট্রেডিং করতে হবে এবং সেই ট্রেডিং থেকে বুঝতে হবে, কোন ইন্ডিকেটর, চার্ট প্যাটার্নগুলো আপনার মতন করে কাজ করে। অর্থাৎ, আপনি এই টুলগুলো ব্যবহার করে প্রফিট করতে পারছেন কিনা! যদি না পারেন তাহলে কেন লস করছেন, সেই উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

এতে করে আপনি রিয়েল ট্রেডিং শুরু করার আগেই, নিজের জন্য প্রফিটেবল ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।

ফলাফল হিসাবে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজও যদি আপনার বিপক্ষে বল করতে আসে, আপনার ভয় পাওয়ার কোনও কারণই থাকবে না।

ধাপ #৫ঃ ট্রেডিং জার্নাল সংরক্ষণ

ধরুন আপনার একটি দোকান আছে। সেই দোকানের প্রতিদিনের ক্রয়, বিক্রয়, দেনা, পাওনার হিসাব আপনি কিভাবে রাখবেন? অবশ্যই কোনও খাতায় কিংবা নোটবুকে! এখন যদি আপনি এই তথ্যগুলো নিয়মিত লিখে না রাখেন তাহলে সমস্যা কি হতে পারে?


কি বলেন, মাস শেষ হলে তাহলে বুঝতেই পারবো না, প্রফিট হল নাকি লস হল। কত টাকা বাকি গেল কিংবা কার কাছ থেকে কত টাকা পাবো। ইত্যাদি ইত্যাদি!

সঠিক!

ট্রেড করার ক্ষেত্রেও আপনাকে এই তথ্যগুলো লিখে কিংবা কোনও স্থানে নোট করে রাখতে হবে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের সকল ট্রেডের হিসাব রাখে। কিন্তু এখানে নোট করার অন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে!

ধরুন, আপনি ৬টি ইন্ডিকেটর সম্পর্কে জানেন এবং ভালো করে বুঝেন। এখন ট্রেড করার জন্য এই ৬টি ইন্ডিকেটর আপনার কাজে আসবেনা। কিংবা যদি কাজে আসেও, তাহলে ৬টি ইন্ডিকেটর আপনাকে ৬ভাবে এন্ট্রির জন্য সিগন্যাল প্রদান করবে। অর্থাৎ, ইন্ডিকেটরগুলো ব্যবহার করে আপনি এক এক রকমের প্রফিট কিংবা লস করবেন। এখন কোন ইন্ডিকেটর আপনার জন্য ভাল সেটি কিভাবে বুঝবেন? অর্থাৎ, কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে আপনি প্রফিট করতে পারছেন কিংবা কোনটি ব্যবহার করে লস করছেন সেটি কিভাবে বুঝবেন?

এর জন্য সবথেকে ভালো হচ্ছে, Practice Trading করার সময় প্রতিটি ইন্ডিকেটর আলাদা আলাদা সময়ের জন্য ব্যবহার করে সেটির প্রফিট এবং লসের হিসাবে করে নেয়া। তারপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর, ক্যালকুলেট করে দেখুন, আপনার প্রফিট হল নাকি লস!

সহজ করে দিচ্ছি, ধরুন ট্রেড করার জন্য আপনি RSIStochasticBollinger Band এবং Ichimoku Kinko Hyo এই ৪টি ইন্ডিকেটর নির্বাচন করলেন। এবার আপনাকে নিচের কাজগুলো করতে হবেঃ

  • প্রথমে ৩০ দিন (কমপক্ষে ৭ দিন) শুধুমাত্র RSI ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট কারেন্সি পেয়ারে এন্ট্রি নিতে থাকবেন এবং ইন্ডিকেটরের শর্ত অনুসারে এন্ট্রি ক্লোজ করতে থাকবেন। প্রফিট কিংবা লস এখানে কোনও ফ্যাক্টর নয়। ধরুন, ৭দিনে আপনি সর্বমোট ২০টি এন্ট্রি গ্রহন করলেন। এবার সেই ২০টি এন্ট্রি থেকে প্রাপ্ত প্রফিট কিংবা লস একটি খাতায় রেকর্ড হিসাবে লিখে রাখুন।
  • এরপরের ৩০ দিন (কমপক্ষে ৭ দিন) Stochastic ইন্ডিকেটর নিয়ে ট্রেড করুন এবং খাতায় লিখুন। এভাবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী সকল ইন্ডিকেটরগুলো একে এক ব্যবহার করার পর সেগুলো এন্ট্রির প্রফিট এবং লসের হিসাবে খাতায় লিখুন।
  • সবগুলো ইন্ডিকেটর এভাবে ব্যবহার করা হয়ে গেলে, খাতা বের করে ক্যালকুলেট করা শুরু করুন।
  • দেখুন, এদের মধ্যে কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে আপনি বেশী প্রফিট করতে পেরেছেন। যেটি ব্যবহারে প্রফিটের পরিমাণ বেশী হবে সেটিই হবে আপনার জন্য প্রফিটেবল ইন্ডিকেটর। বাকি গুলো আর তখন ব্যবহার করার প্রয়োজন হবেনা।

এই কাজগুলোকে, ট্রেডিং জার্নাল বলা হয়। অর্থাৎ, এটি হচ্ছে আপনার ট্রেডিং এর যাবতীয় সকল তথ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া। এতে করে আপনি পরবর্তীতে ট্রেডিং এর ফল নিজেই জানতে এবং বুঝতে পারবেন। প্র্যাকটিস ট্রেডিং সেশনে এই ট্রেডিং জার্নাল ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজনীয়। 

এতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য নিয়ে আপনি আর্টিকেলটি পড়লেন, এখান থেকে কিছু বুঝতে পেরেছেন কি? Practice Trading কে শুধুমাত্র নামমাত্র ট্রেডিং মনে করলে আপনার জন্য ভাল হবেনা। তবে প্র্যাকটিস ট্রেডিংকে যদি সফলভাবে ব্যবহার করে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি – রিয়েল ট্রেডিং হবে আপনার জন্য “ফলের রাজা, আমাদের জুস খাওয়ার মতন সহজ এবং মজাদার”।

Admin

Post a Comment

Previous Post Next Post