What is Trading?

 

Trading কী?

 

 

ট্রেডিং হলো একটি আর্থিক কাজ যা মালামাল বা সূক্ষ্ম সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে লাভ অর্জনের পদ্ধতিকে বঝায়। এটি আর্থিক বাজার বিষয়ক একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তিগত অর্থ, পুঁজি, সুপারিশকারী সামগ্রী বা সুযোগের মাধ্যমে মালামালের ক্রয়-বিক্রয় বা অথবা দ্রব্যমান অর্থের প্রবাহের মাধ্যমে লাভ অর্জন করা হয়। 



ট্রেডিং কত প্রকার ?

শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং মূলত, ৩ প্রকার হয়ে থাকে - 

1. সুইং ট্রেডিং .

2. ইন্ট্রাডে ট্রেডিং .

3. অপশন/ ফিউচার ট্রেডিং.

এবার আমরা এই তিন প্রকার ট্রেনিং সম্পর্কে জেনে নেব -

সুইং ট্রেডিং( Swing Trading) : যখন কোন কোম্পানির শেয়ার কেনার পর ২ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে প্রফিট অথবা লস  এ বিক্রি করে দেওয়া হয় তখন সেই ট্রেডিং কে সুইং ট্রেডিং বলে। সুইং ট্রেড এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোম্পানির ছোট ছোট উপর - নিচ ( Up & Down) হতে থাকে মোমেন্টকে ধরার মাধ্যমে ইনকাম করা হয়। সুইং ট্রেড নেওয়ার আগে উপরে দিকে একটি নির্দিষ্ট টার্গেট প্রাইস ( Target Price) সেট করা হয় এবং নিচের দিকে একটি স্টপ লস ( Stop Loss) সেট করা হয়ে থাকে। শেয়ার প্রাইজ যদি উপরের টার্গেটে দিকে যায় তাহলে প্রফিট বুকিং করা হয় এবং যদি ডাউনে এসে স্টপ লস হিট করে তাহলে লস বুকিং করা হয়।

Picture: Swing Trading

ইন্ট্রাডে ট্রেডিং: যদি আপনি আজকেই শেয়ার কিনে আজকেই  বিক্রি করে দেন, তবে সেই ট্রেডিং কে বলা হয় ইন্ট্রাডে ট্রেডিং। ইন্ট্রাডে ট্রেডিং আপনি নিজের ক্যাপিটাল দিয়েও করতে পারেন আবার আপনার ডিমাট অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ ব্রোকার একাউন্টের মাধ্যমে ঋণ করতে পারেন। একটু বুঝিয়ে বলি ব্যাপার টা, ধরুন আপনার কাছে 10000 টাকা আছে। কিন্তু আপনি যদি ইন্ট্রাডে ট্রেডিং করেন, তাহলে আপনার ব্রোকার অ্যাকাউন্ট আপনাকে ৫গুণ টাকার শেয়ার কেনার সুবিধা দেবে অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা শেয়ার আপনি কিনতে পারবেন। এখানে মনে রাখবেন আপনার যদি প্রফিট হয় তাহলে ওই ৫০ হাজার টাকার উপরে প্রফিট হবে এবং যদি লস হয় তাহলেও কিন্তু এই ৫০ হাজার টাকার উপরে লস হবে। আর ইন্ট্রাডে ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে , আপনি যেদিন শেয়ার কিনবেন, সেই দিনই বিকেল ৩.১৫ মিনিটের আগে শেয়ার বিক্রি করতে হবে।

এছাড়া আরও একটি বিষয় মনে রাখবেন - 

ধরুন আপনি অ্যানালিসিস করে মনে করছেন যে এই শেয়ারটির দাম বাড়বে, তাহলে আগে শেয়ারটিকে কিনলেন এবং তারপর দাম যখন বাড়ল সেটিকে বিক্রি করে তার লাভ পেলেন।  আবার আপনি উল্টোটাও করতে পারেন। যদি আপনার মনে হয় যে এই শেয়ারটির দাম এখন ডাউনে যাবে, তাহলে আগেই আপনি সেই শেয়ারটিকে Sell করে দিতে পারবেন বেশি মূল্যে এবং যখন ডাউনে আসবে তখন আপনি কম দামে শেয়ারটিকে Buy করে লাভ পেতে পারেন।

অপশন/ফিউচার ট্রেডিং:ধরুন আপনি এনালাইসিস করে প্রেডিকশন করলেন যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোনো কোম্পানির শেয়ার বা  অথবা ইনডেক্স ( Index) উপরে যাবে। কিন্তু আপনার কাছে সেই শেয়ার বা ইনডেক্স কেনার পুরো টাকা নেই। তখন আপনি অল্প কিছু টাকা দিয়ে সেই শেয়ারের অপশন বা ইনডেক্সের অপশন কিনতে পারেন। এবং আপনার প্রেডিকশন হিসেবে সেই শেয়ার বা ইনডেক্স উপরে যায় তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন। উল্টোভাবে আপনার যদি মনে হয় যে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেও এই শেয়ার বা ইনডেক্স ডাউনে যাবে। তাহলে আপনি আগেই অপশন সেল করতে পারেন, এবং পরে সেটি কেনার মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। তবে মনে রাখবেন যদি আপনার প্রেডিকশন মত কোন কিছু না হয় তাহলে কিন্তু আপনাকে লস বুক করতে হবে।

অপশন ট্রেডিং শেয়ার বাজারের মধ্যে সবথেকে রিস্কি এবং এডভান্স লেভেলের। অপশন ট্রেডিং এ কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনার ক্যাপিটাল যেমন ৫-১০ গুণ হয়ে যেতে পারে আবার উল্টোদিকে আপনার সমস্ত টাকা লস হয়ে যেতে পারে। তাই অপশন ট্রেডিং থেকে দূরে থাকাই ভালো।


সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স কী: Check


Admin

Post a Comment

Previous Post Next Post